🔵 মহাকাব্যের পাণ্ডুলিপি
পলায়মান স্বপ্নের ভিড় (তোমার আমার এবং অনেকের)
স্তূপীকৃত হয় আমার সত্তার পথে।নিরাশ্রয় স্বপ্নগুলিকে
আশ্রয় দেবার ভার আমি মাথা পেতে নিলাম।(কবিতার চেয়ে জীবন বহু দামী।)নিরুপায়।যোগ দিলাম শ্মশান-যাত্রায়,
কার মৃত্যু?তাকে তো জানিনা।আমরা কেবল যোগ দিই।
আজ আমার আকাশ বিশাল।ইতিহাসের পলায়মান
স্বপ্নগুলিকে নিমন্ত্রণ করে ক্ষণিক বিশ্রাম দিলাম। আত্মার
সরাইখানা তাঁদের তর্ক আর চুরুটের ধোঁয়ায় ধোঁয়াশা ।
অনেককেই চিনতে পারলাম।সহযাত্রী হাজার জন্মের।
একই সঙ্গে এসেছিলাম জীবনের সেতুতে ঘর তৈরি করা
নিষ্ফল কামনা নিয়ে।ইতিহাস তাদের আশ্রয় দিল না
সময় শাসন করে বলল, বাণপ্রস্থ নাও,
বাণপ্রস্থ নাও…নির্বাসন দিতে খারাপ লাগে,আপন যখন
ধারাপাতের সেই দশের শেষে যে যার ঘরে যাবার জন্য
ওরা বেরোল—কিন্তু ঘর কোথায়? ঘর?
সেইসব উদ্বাস্তু স্বপ্ন
আমাকে এসে উতলা করে।মিথ্যা বলে তাদের
কারও সে সাহস নেই।সত্যি বলে জীবনে
গ্রহণ করারও দাম বড় বেশি…বড় বেশি
কীভাবে করে বলুন?
ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই ‘ছোট সে তরী’—জন্ম এবং
মরণের মাঝখানের মুহূর্ত একটি ক্ষুদ্র পরিসর।
আজ আমার সাহস হল।(আজ আমার আকাশ বিশাল)
মৃত্যুর সীমায় বসে জীবনের দিলাম সারমন প্রতিবেশী
বন্ধু আমার,তোমার স্বপ্নও যদি কোথাও আশ্রয় না পায়,
জীবনে-ইতিহাসে,খোলা রইল একটি দরজা,
আসা-যাওয়া দুপাশে ।ক্ষণিকের জন্য বিশ্রাম নেবে এসে।
কাপড় ছাড়বে।তর্কের ধুলোর বোঝা
মেঝেতে ঝেড়ে ফেলবে–আমার মেঝেতে।
(আমার ও জীবনের দাম আমার জন্য বড় বেশি…বড় বেশি)
শ্মশান যাত্রাকে আমরা জয়যাত্রা করার আশ্বাস
আমি আজ দিলাম।
কথার রহস্য যত সরল তোমার পথ
করে তোলে তর্কে কুটিল—তার থেকেই শুরু
সুন্দর সরণি।
🔵 সর্বং প্রাণ এজতি
এখন কত রাত?
অলকানন্দা,এখন কত রাত
গ্যাস লাইটের ফ্যাকাশে আলোতে সংকেত নিষ্ফল
সময়ের কাঁটা রাতের ঘড়িতে স্থির।
কতই বা রাত? হয়তো দুপুর রাত।
অলকানন্দা,বাহুতে ভর দিয়ে তুমি বোধ হয় শুয়ে আছ
রাতের সুরভি ধূপের ধোঁয়ার মতো
তোমার দেহের প্রতিটি খাঁজে
স্তব্ধ
রাতের বাতাস নীরব,নগ্ন
আকাশ স্বপ্নরতা
রাত ঝিলমিল তারা ঝিলমিল
মানিকতলার খাল
আমার বিকেলের অলকানন্দা তুমি বোধহয় শুয়ে আছ ।
আকাশ ফুলের এত পাপড়ি
উপনিষদের ইঙ্গিত …
বাতাস জ্যোৎস্না ঢেউ আর তারা
মৃত্যু-শীতল সুপ্তির
ঘুমের শীতল চোখের পাতিতে কাঁপে
রাত জ্বলজ্বল স্বপ্ন নিবিড়
মানিকতলার খাল!
তার ছন্দ ভাঙ্গার গম্বুজ জাগে শহরতলির উজাগরী জ্যোৎস্নায়
আছে,জেগে আছে,
রাত জেগে আছে,আমি জেগে আছি।
আকাশ জ্যোৎস্না কেউতো ঘুমোয়নি
আর জেগে আছে কুন্তীর উৎকণ্ঠা
জতুগৃহে আগুন জ্বলে…এই জ্বলে!
মোমবাতি শিখা নিদ্রাবিহীন
সৃষ্টির জাগরণ
দাস ক্যাপিটেল এগারো পৃষ্ঠা বাকি
অলকানন্দা,এখনও শুয়ে আছ?
রাত ঝিকিমিকি প্রাণ ধিকিধিকি
মাণিকতলার খাল!
🔵 একটি প্রেমের পদ্য
‘Do you remember an Inn, Miranda?’
বর্ষার রাত তোমার কবিকে
মনে পড়ে কি,অরুন্ধতী?
স্যাঁতসেঁতে আলো স্মরণ করিয়ে দেয়
তোমার খোঁপার বিকেল-বিকেল গন্ধ
মনে পড়ে,
অরুন্ধতী!
জ্যোৎস্নায় মেঘলা দিনে ভালোবাসায় বিষাদে
দুর্বোধ্য কবিতা,
আমার মধ্যে ভাঙা স্বপ্নের অতনু বাধা
মনে পড়ে অরুন্ধতী!
দূরের বনে জ্যোৎস্নার মণি,
চুলের মেঘে কোমল আঙুলের অনেক চাঁদ
(জোয়ারের জন্য সাগর ছিল না!)
বরফের মতো ঠাণ্ডা স্পর্শেও
সে যে কী শান্তি
অরুন্ধতী!
অরুন্ধতী!
অনেক আকাশ পার হয়ে আশা
তুফান পাখির এক লহমার নীড়—
অনেক স্বপ্ন পার হয়ে আসা
কাঁচা ঘুমের ভিড়ের মধ্যে
সেই কেবল একটা
উজাগর রাত,–
মনে পড়ে,অরুন্ধতী?
বর্ষার রাতে মনে পড়ে
অরুন্ধতী।
ছবি- অপরূপা সিনহা
মূল অসমিয়া থেকে বাংলা অনুবাদ- বাসুদেব দাস
কবি পরিচিতি
১৯২৬ সনের ২৯ ডিসেম্বর কবি নবকান্ত বরুয়ার জন্ম হয়। অসমিয়া সাহিত্যে তিনি অন্যতম স্থান দখল করে আছেন। এটা প্রেমর পদ্য,ইয়াত নদী আছিল,মোর আরু পৃথিবীর,সম্রাটর পরা তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ। ১৯৭৫ সনে ককাদেউতার হাড় উপন্যাসের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি সোভিয়েত দেশ পুরস্কার,আসাম ভ্যালি লিটারেরি পুরস্কার ও লাভ করেন।২০০২ সনের ১৪ জুলাই কবির জীবনাবসান হয়।
The Review
macOS Sierra
A wonderful serenity has taken possession of my entire soul, like these sweet mornings of spring which I enjoy with my whole heart. I am alone, and feel the charm of existence in this spot, which was created for the bliss of souls like mine.
PROS
- Good low light camera
- Water resistant
- Double the internal capacity
CONS
- Lacks clear upgrades
- Same design used for last three phones
- Battery life unimpressive