কান্নায় আচ্ছন্ন শিবানী এক সময় তন্দ্রাতুর হয়। সেই তন্দ্রার মাঝে বড় সুন্দর একটা স্বপ্ন দেখে। স্বপ্নে দেখে দাঙ্গা বিধ্বস্ত নােয়াখালিতে গান্ধিজীর পদ-যাত্রার দৃশ্য! হাঁটুর ওপরে কাপড় পরা এক সঙ্কল্পবদ্ধ মহামূর্তি লাঠি হাতে দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে চলেছেন। নােয়াখালির আকাশ-মাটি-মানুষে সঞ্চারিত হচ্ছে ভ্রাতৃপ্রেমের সঙ্কল্প। বাতাসে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হচ্ছে অপূর্ব সে সঙ্গীত লহরী—
‘যদি তাের ডাক শুনে কেউ না আসে
একলা চল রে।’
এ দৃশ্য ও স্বপ্ন-ঘাের একসময় স্বপ্নাচ্ছন্ন শিবানীর মন-পর্দা থেকে মুছে গেল— সেখানে এসে দাঁড়াল শুভেন্দু— তার প্রীণিত প্রশান্ত রূপ নিয়ে। ওর মাথায় সান্ত্বনার হাত রেখে যেন বলল:
—ছিঃ, ভেঙ্গে পড়তে নেই। মনকে শক্ত কর, ওঠো, জাগাে, মেয়েরা শক্তির জাত। দুর্বলতা তাদের শােভা পায় না।
শুভ্রের চেহারা মিলিয়ে যেতে না যেতেই কে যেন এসে ওকে ঠেলতে লাগল। ধড়ফড় করে বিছানায় উঠে বসল শিবানী। দেখল, না, কাছে পিঠে কোথাও ত’ নেই শুভেন্দু! ওর খাট ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে ভয়াতুর মুখ-চোখে মধুছন্দা।
—কিরে, কি হয়েছে?
—শিবানী দি, আমাদের যে হকারটা কাগজ দেয় না, তাকে ভার্সিটির ছেলেরা মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। বেচারা এসে বলে গেল কাল থেকে আর বাংলা কাগজ দেবে না। শুধু ষ্টেটসম্যান দেবে। শিবানী দি, কি হবে, আমার যে বড় ভয় করছে।
কথাগুলাে শুনতে শুনতে হতবুদ্ধি শিবানীর মাথাটায় যেন কি হয়ে যায়। ক্ষিপ্তকণ্ঠে বলে:
—জানি না হতচ্ছাড়ি। দূর হয়ে যা আমার সামনে থেকে। দেশের সব মানুষ যদি অমানুষ হয়ে যায় রাতারাতি, নেতারা যদি না দেশের লােককে রক্ষা করতে পারে, আমি, আমি কি করতে পারি, কতটুকু করতে পারি তােদের জন্য?
এ হােষ্টেলে একমাত্র সান্ত্বনার স্থল শিবানীর রূঢ় কথায় মধুছন্দা দু’হাতে মুখ ঢেকে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে প্রস্থানােদ্যতা হতেই শিবানী নিজেকে ত্বরিৎ সামলে নেয়। মুহূর্তে শয্যা ছেড়ে উঠে ছুটে গিয়ে তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে। বলে:
—লক্ষ্মী বােন আমার, ক্ষমা কর। আমার মাথার ঠিক নেই। সারা দেশে যদি আগুন জ্বলে, আর সে আগুন জ্বালায় একশ্রেণীর শিক্ষিত ছাত্র আর পলিটিশিয়ানরা তা হলে আমার মত ছোট মনের সামান্য এক মেয়ের মাথা কি করে ঠিক থাকে বল? ছন্দা, পারিস ত তাের শিবানী দি’কে ক্ষমা…
মধুছন্দা ত্বরিৎ হাত বাড়িয়ে শিবানীর মুখ চেপে ধরে বলে:
—তােমাকে ক্ষমা করতে ব’লে আমায় ব্যথা দিও না শিবানীদি। তুমি না থাকলে এ ক’দিনে আমি ভয়েই মরে যেতাম।
কান্না করুণ কণ্ঠে কথা শেষ করে মধুছন্দা।
—আয়, আমার বিছানায় বােস। ভেবে দেখি কি করা যায়। এভাবে এখানে তাের থাকা উচিত হবে না আর।
ওরা দুজনে গিয়ে বসল বিছানায়। কোলের ওপর বালিশ জোড়া নিয়ে অনেকক্ষণ ধরে চিন্তিত মুখে থম্ মেরে থাকল শিবানী। তারপর যেন একটু ক্ষীণ আলাে দেখেছে এইভাবে উজ্জ্বল মুখে গলার স্বর খাদে নামিয়ে বলল:
—এক কাজ কর, তােরা, মানে যারা বাঙ্গালী মেয়ে আছিস, সবাই বাড়িতে গার্জিয়ানদের ‘টেলি’ করে দে। ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরে যা। সেই ভাল, এখানে কে তােদর দেখবে বল? ললিতাদির ওপর আমার একটুও বিশ্বাস নেই।
—তুমি যা বলবে, তাই হবে।
—যা, তাের ঠিকানা নিয়ে আয়। আর অন্যান্য যেসব বাঙ্গালী মেয়ে আছে তাদের বলগে যদি রাজী থাকে ঠিকানা নিতে। আমি আমার নাম দিয়ে টেলিগ্রাম করে দেব। নইলে ললিতাদি তােদের ওপর চটিতং হবে। তার চেয়ে ওর সঙ্গে আমিই বােঝাপড়া করব’খন। আর দেখ, বাঙ্গালী মেয়েদের এ সব কথা চুপি চুপি বলিস, অসমীয়া মেয়েরা যেন এ সব ঘুণাক্ষরেও না জানতে পায়। বলা ত যায় না কার মনে কি আছে?
*** *** ***
গৌহাটী শহরের অবস্থা ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। ২৮শে জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে যে নিষ্ঠুর নাটক অভিনীত হয়েছে তারপর এক শ্রেণীর অসমীয়া ছাত্রদের বর্বর ক্রিয়াকলাপ জঘন্নতার পঙ্কপথে কতদূর যে এগিয়ে গেছে তার ছিটেফোঁটা সংবাদই মাত্র জেনেছে শিবানী। অবস্থা আরও অবনতির দিকে যাওয়ায় ডেপুটি কমিশনার ৩০শে জুন শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেন। কিন্তু সে আদেশ খাতা কলমেই সীমাবদ্ধ থাকে বলে শিবানীর সন্দেহ। কেননা হােষ্টেলের ঠাকুর-চাকর-বেয়ারাদের মুখ থেকে শহরের যেটুকু খবর সে সংগ্রহ করছে তাতেই বুঝতে পারছে যে ছাত্রদের শাসন করার ব্যাপারে পুলিশ খুব একটা কিছু করতে পারছে না বা ইচ্ছে করেই করছে না। বিশেষ করে অসমীয়া পুলিশদের মনেও বাঙ্গালী বিদ্বেষের পাপ ঢুকেছে।
ইতিমধ্যে একে একে বাঙ্গালী মেয়েদের অভিভাবকরা এসে তাদের মেয়েদের নিয়ে গেছে। এজন্য অবশ্য শিবানীকে ললিতাদির ধমকানি শুনতে হয়েছে। তা’ হ’ক। তাতে বিচলিত হয়নি শিবানী। কেননা মেয়েদের অভিভাবকরা চলে যাওয়ার সময় যে ভাষায় কৃতজ্ঞতা বা আশীর্বাদ জানিয়ে গেছে তাকে— তার মূল্যকে মনুষ্যত্বের পরিমাপে সে অনেক বেশী মনে করে। মধুছন্দা যাবার সময় উচ্ছসিত কান্নায় শিবানীর বুকে ভেঙ্গে পড়ে বলেছিল:
—অসমীয়া আর বাঙ্গালীরা যদি সকলেই সকলের কাছে শত্রু হয় তবু তুমি যেন শেষ পর্যন্ত আমার শিবানী-দিই থেক।
—থাকব রে বােন, থাকব।
জল-ছল-ছল চোখে কথা দিয়েছিল শিবানী—
—তাের আমার পরিচয় ত আলাদা নয় ছন্দা— তুইও প্রথমে ভারতীয় তারপর বাঙ্গালী, আমিও ত তেমনি প্রথমে ভারতীয় তারপর অসমীয়া। বিদেশে গেলে আমাদের উভয়েরই যে প্রথম পরিচয়টায়ই পরিচিত হতে হবে। আমরা কি পরস্পরের পর হতে পারি?
কান্নাভেজা কন্ঠে শেষ কথা বলেছিল মধুছন্দা:
—চলি শিবানী দি, যদি এ ‘বঙ্গাল খেদা’ আন্দোলনের বলি না হতে হয়, আবার দেখা হবে আমাদের।
—ভগবানের ওপর বিশ্বাস রাখিস ছন্দা, আর ভয়ের কাছে নতি স্বীকার করিস নে।
উজ্জ্বল কণ্ঠে উপদেশ দিয়েছিল শিবানী।
বাঙ্গালী মেয়েদের সকলেই একে একে চলে গেছে। হােষ্টলজীবন যেন কেমন ছন্নছাড়া হয়ে পড়েছে। অসমীয়া মেয়েদের অনেকেই আন্দোলনের উত্তাপে উত্তপ্ত । কোথায় যেন কেটে গেছে সুর, ছিঁড়ে গেছে তার। অসমীয়া মেয়েদের অনেকেই শিবানীর সংগে তেমন ঘনিষ্ট হ’য়ে মেশে না— তারা একে অপবাদ দেয় Pro Bengalee বলে। কোন অসমীয়ার যেন বাঙ্গালীকে ভালবাসা মস্ত একটা অপরাধ।
অসমীয়া মেয়েদেরও অনেকের অভিভাবক এসে নিজের নিজের মেয়েদের নিয়ে গেছে। শিবানীর আর ভাল লাগছে না এই হােষ্টেল-জীবন। ওর কামরার বাকী তিনটে সীটই খালি। একা ওই যা আছে। যা কিছুই হােক না কেন ওর এখন যাওয়া হবে— কেননা ওর বাড়ি থেকে ওকে নিতে আসবার মত কেউ নেই। অথর্ব বাবা— আর বার্দ্ধক্য পীড়িত মা। হ্যাঁ একজন হয়তো ছুটে আসতো এইভাবে অবস্থা অবনতির দিকে যাবার আগেই— সে শুভ্র। কেননা সে তাদের সংসারের ছেলেরই মত। সেবার মাকে ও বলেছিল:
—ছেলে নেই, তাতে কি কাকিমা, আমি কি আপনাদের ছেলে নই?
কিন্তু সে ত’ এখন এখানে থাকে না। সেই কলকাতা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উজ্জ্বল রত্ন শুভ্রেন্দু আপনার যােগ্যতায় কলকাতাতেই অধ্যাপনার চাকরি জুটিয়ে নিয়েছে।
সন্ধ্যার পর ওর মাথায় এক মতলব এলাে। ট্রাঙ্ক খুলে বের করল ট্রানজিষ্টার রেডিও সেটটা। যেটা শুভ্রেন্দু ওকে ওর এক জন্মদিনে প্রেজেন্ট করেছিল। কি সুন্দর করে বলেছিল:
—পাণ্ডববর্জিত দেশে পড়ে থাক— জগতের খবর রাখতে অহমদুহিতার সুবিধা হবে এতে।
প্রথম প্রথম প্রায় চব্বিশ ঘণ্টাই সেটা খুলে বসে থাকত শিবানী। কিন্তু পড়াশুনার ক্ষতি হচ্ছে বলে ওকে সেবার ধমকে দিয়েছিল শুভ্রেন্দুই। তারপর থেকে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিল শিবানী খুব বিশেষ প্রয়ােজন ছাড়া আর সেটা খুলবে না।
কিন্তু এবার নিশ্চয়ই সেই বিশেষ প্রয়ােজন এসেছে— এই শহরের বুকের ওপর দিয়ে বর্বরতার যে ঝড় বয়ে যাচ্ছে তার ছিটেফোঁটা খবরও কি পাওয়া যাবে না সরকারী প্রচার যন্ত্রে— যে সরকারের শীলমােহরে উৎকীর্ণ বাণী হ’ল “সত্যমেব জয়তে।”
সন্ধ্যার পর দরজায় ছিটকিনি তুলে দিয়ে এলাে শিবানী। তারপর খুলে বসল রেডিওটা। খুব আস্তে করে দিল আওয়াজ। দু’একটা প্রােগ্রামের পর শুরু হ’ল আসাম সরকার প্রচারিত প্রেসনােট। মনযােগ দিয়ে শুনল শিবানী সে প্রেসনােট। সরকারী প্রেসনােটে বলা হ’ল:
১৭ই জুন ২৫|৩০ জন লােক এক ব্যক্তিকে আক্রমণ করে; ঐ ব্যক্তি যে বাড়ীতে গিয়া আশ্রয় লয়, সেখানে ঢিল ছোঁড়ে। তাহারা অপর ছয় ব্যক্তিকেও মারপিট করে। ২৮শে জুন ৫০ জন যুবক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট কলিকাতা হইতে আগত সংবাদপত্রের গাড়িটি থামাইয়া গাড়ীর আরােহীদের টানিয়া বাহিরে আনে এবং তাহাদিগকে মারপিট করিয়া কাগজগুলি ছিনাইয়া লয় ও পুড়াইয়া ফেলে। ২৯শে জুন সহরে কয়েকটি মারপিটের ঘটনা ঘটে। গৌহাটী পুলিশ মারপিট সম্পর্কে ১৯টি ক্ষেত্রে তদন্ত আরম্ভ করে। ৩০শে জুন অবস্থা আরাে অবনতির দিকে যাইতে থাকায় এবং কয়েকটি বিক্ষিপ্ত মারপিটের ঘটনা ঘটায় ডেপুটি কমিশনার ১৪৪ ধারা জারী করেন, কার্ফ্যুও জারি করা হয়। ঐ দুইটি আদেশ সত্বেও প্রায় এক শত লােকের জনতা ‘কুকুমতা’ রেল ফায়ার সাব ষ্টেশনের কর্মীদের মারপিট করে এবং টেলিফোন রিসিভার অপসারণ করে। রাত্রি ১০টায় তৈল শােধনাগারের একজন কর্মীর বাড়ীতে ইট পাটকেল ছোঁড়ে। চাঁদমারীতে একদল লােক বেআইনীভাবে একজনকে আটক করিয়া রাখে, পানবাজারে আর এক ব্যক্তি প্রহৃত হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জনতা এক বাড়ীতে ঢুকিয়া তিন ব্যক্তিকে মারপিট করে। চাঁদমারীতে একজন নারীও লাঞ্ছিত হন। গৌহাটীর বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ডেপুটি কমিশনারের বাড়ীতে মিলিত হইয়া অবস্থা সম্পর্কে আলােচনা করেন। তাহারা পূর্ণশান্তি স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন। ইহাতে কার্ফ্যু প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত করা হয়। বিভিন্ন পল্লীতে শান্তি কমিটি গঠন করা হয়। ২রা জুলাই কলিকাতার সংবাদপত্রগুলি হকারদের নিকট হইতে ছিনাইয়া লওয়া হয়। সন্ধ্যায় কিছু সংখ্যক লােক দিঘমানী পুখুরীর নিকট এক বাড়ীতে ঢুকিয়া লােকজনকে জগম করে। দুষ্কৃতকারীরা শিলপুখুরীর নিকট বাড়ী ঘরের ওপর ইটপাটকেল ছোঁড়ে। পাট বাজারের জনৈক চিকিৎসক ছুরিকাহত হন। হাসপাতালগামী এম্বুলেন্সের ড্রাইভারকে প্রহার করা হয়। একজন পুলিশ কনষ্টবলও প্রহৃত হয়। ঐ অঞ্চলে একজন ডাক্তারও প্রহৃত হন। যানবাহনের উপর ঢিল ছোঁড়া হয় এবং গাড়ী জখম করা হয়। উযানবাজার ষ্টিমারঘাটে এক ব্যক্তি প্রহৃত হয়। ৪ঠা ও ৫ই জুলাই-এর ঘটনার কিছু বিবরণ গতকল্যকার সংবাদপত্রে প্রকাশিত হইয়াছে। আরও কয়েকটি ঘটনার বিবরণ নিম্নে দেওয়া হইল। পুলিশ সুপার সশস্ত্র বাহিনী সহ ‘ডন বসকো’র দিকে যাইবার সময় একদল লােক অয়ারলেশ ষ্টেশনে অগ্নি সংযােগের চেষ্টা করিতেছে দেখিতে পাইয়া উহা বন্ধ করে। পৌনে ১২টার সময় অবস্থা আয়ত্তের বাহিরে চলিয়া গেলে পুলিশ উগ্ৰমূৰ্ত্তি জনতার উপর গুলী ছোঁড়ে। উহাতে এক ব্যক্তি নিহত এবং অপর ৯ জন আহত হয় বলিয়া সংবাদ পাওয়া গিয়াছে। এদিকে ৬০ জন লােকের এক জনতা ডেপুটি কমিশনারের বাংলােয় ঢুকিয়া পড়ে। ঐ সময় তিনি অন্যান্য কর্মচারীদের সহিত পরামর্শ করিতেছিলেন। ঐ সময় যে ঠেলাঠেলি শুরু হয় তাহাতে স্বয়ং ডেপুটি কমিশনার ছুরিকাঘাতে আহত হন। ১২-১৫ মিঃ এর সময় পুনরায় কার্ফ্যু জারি করা হয়। প্রেসনােটে শহরের সর্বত্র হাঙ্গামার প্রসারে দুঃখ প্রকাশ করা হয়। ইহার ফলে এমন কি পদস্থ পুলিশ কর্মচারির জীবনও বিপন্ন হইয়া পড়িয়াছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দের আবেদন সত্বেও অবস্থা খারাপের দিকেই যাইতে থাকে। কার্ফ্যু জারি করা ছাড়া শান্তি অক্ষুণ্ণ রাখা এবং জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি নিবারণ সম্ভব নয় বলিয়া দেখা যায়। অবস্থাকে আরাে অবনতির দিকে যাইতে দেওয়া যায় না। দুস্কৃতকারীদের কঠোর হতে দমন করা হইবে। এই জন্যই পুলিশকে সাহায্য করার জন্য সৈন্য তলব করা হইয়াছে। প্রেসনােটে অবস্থা স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরাইয়া আনার জন্য সরকারের প্রচেষ্টায় পূর্ণ সহযােগিতা করার নিমিত্ত বিশিষ্ট নাগরিক ও জনসাধারণের নিকট আবেদন করা হইয়াছে।
নোট- বানান অবিকৃত