শেরমুন পাহাড় থেকে অভিযান শুরু করে শরদিন্দুর নেতৃত্বে কুকিবাহিনী প্রথম আক্রমণ করে কুমারঘাটের রাতাছড়া ও আশেপাশের এলাকায়। মুসলমানদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে লুটপাট করে। ১৯৫০ সালের ৩০ মার্চ পাহাড়ি রাস্তা ধরে কুকিরা আক্রমণ করে কুলাইয়ের ভাওয়ালিয়া বস্তিতে। কাছাড়ের বাঁশকান্দি থেকে মুসলমানেরা এসে এখানে বসতি গড়ে তুলেছিল। কুকিরা আগুন জ্বালিয়ে ছারখার করে দেয় ভাওয়ালিয়া বস্তি। ভীতসন্ত্রস্ত মুসলমানেরা দলে দলে পায়ে হেঁটে পূর্ব পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। ততক্ষণে সদর কমলপুরে ভাওয়ালিয়া বস্তির খবর পৌঁছে গেছে। ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য ও উত্তেজনা। ভাওয়ালিয়া বস্তির মুসলমানেরা শান্তির বাজারে পৌঁছতেই পূর্বদিকের লাটিয়াবিল গ্রামের একশো পরিবার মণিপুরি মুসলমানেরা ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে আত্মরক্ষার তাগিদে ছুটতে শুরু করল সীমান্তের দিকে। রাত আটটা নাগাদ কুকিবাহিনী লাটিয়াবিল গ্রাম ছারখার করে মধ্যরাতে হালাহালি এসে ছোটো ছোটো দলে ভাগ হয়ে আস্তানা গেঁড়ে বসল। মুসলমান বসতিগুলিতে অভিযানের আগে কুকিরা ঘোষণা দিয়েছিল, হিন্দুরা যেন বাড়িতে সাদা পতাকা টাঙিয়ে রাখে। তাহলে কোনো আক্রমণ হবে না। হিন্দুদের কোনো বাড়িই অবশ্য কুকিরা আক্রমণ করেনি। ৩১ মার্চ সকালে কুকিবাহিনী উত্তর হালাহালির মণিপুরি মুসলমানদের গ্রাম জ্বালিয়ে দিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই কুকিরা পৌঁছে গেল এয়ারপোর্ট এলাকায়। সেখানেও ছারখার করে দিল মণিপুরি মুসলমানদের বসতি। অসহায়, ঘরছাড়া মুসলমানরা পায়ে হেঁটে সীমান্ত পেরিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিলেন সিলেটের বিভিন্ন গ্রামে। ভয়ে মলয়া, গঙ্গানগর, নোয়াগাঁও, মুক্তাবিল, মোহনপুর ও কমলপুর শহরের আশপাশের মুসলমানরা রাতারাতি পালিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে সিলেটে চলে যান। তৎকালীন মহকুমা শাসক অমল ভট্টাচার্য ও কংগ্রেস দলের নেতা সুনীল চন্দ্র দত্ত মুসলমানদের অভয় দিয়েও আটকাতে পারেননি। ততক্ষণে পয়লা এপ্রিল ফের কুকি আক্রমণের সম্ভাবনা চাউর হয়েছিল। দক্ষিণ মানিকভাণ্ডারের এয়ারপোর্ট এলাকার মণিপুরি মুসলমানদের বসতি আক্রমণের পর কুকিরা ফিরে এল হালাহালিতে। হালাহালির কমিউনিস্ট নেতা সত্যরঞ্জন দে, যামিনীকান্ত চৌধুরী কুকিবাহিনীর অধিনায়ক শরদিন্দু দত্তকে অভিযান থেকে নিরস্ত থাকার জন্যে অনুরোধ করেন। পয়লা এপ্রিল কুকিরা আর কোথাও আক্রমণ করেনি। শেষরক্ষা হয়নি যদিও।
বিতাড়িত রাতাছড়ার মুসলমানেরা ও পরে ৩১ মার্চ কমলপুর মহকুমার বিভিন্ন জায়গার মুসলমানরা ওপারে যাওয়ার পরই সিলেটে মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা দানা বাঁধতে থাকে। হবিগঞ্জ সদর পুলিশ স্টেশনের কনস্টেবল কেরামত মিঞার নেতৃত্বে ইস্ট পাকিস্তান স্টেট রাইফেলসের বেশ কিছু সাদা পোশাকের জওয়ান, আনসারদের নিয়ে গড়ে ওঠে সশস্ত্র বাহিনী। কেরামত ছিল ঘুষ নেওয়ার অপরাধে বরখাস্ত কনস্টেবল। তিন বছর জেল খেটে ১৯৪৩ সালে বেরিয়ে আসে। পয়লা এপ্রিল শুরু হয় পালটা হানা। সকাল দশটা নাগাদ পাক হানাদারেরা মলয়ার মাঠ থেকে হানা দিয়ে গোরু-মহিষ নিয়ে যায়। ভয়ে লোকজন কমলপুর শহর ছেড়ে পালাতে শুরু করে। বেলা তিনটে নাগাদ একসাথে তিনদিক থেকে আক্রমণ শুরু হয়। কমলানগর, মলয়া, গঙ্গানগর সীমান্ত দিয়ে পূর্ব পাকিস্তান থেকে কয়েক হাজার লোক কমলপুর শহরের দিকে এগোতে থাকে। এই দলে অনেক বিতাড়িত মুসলমানও ছিল। মোহনপুরের গোয়ালমারায় এদের বাধা দেওয়া হয়। মোহনপুরের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে কমলপুরের পুলিশবাহিনী ও একদল যুবক। একশো রাউন্ড গুলি চালিয়েও পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়। বর্ডারের কাছে বনদপ্তরের একটি অফিস হানাদারেরা জ্বালিয়ে দেয়। আকাশে বাতাসে শুধু আল্লাহু আকবর ধ্বনি আর ব্ল্যাংক ফায়ার। জনশূন্য গ্রামগুলিতে লুটপাট চালিয়ে সেই লুটের মাল হাতির পিঠে করে নিয়ে যায় হানাদারেরা। রাতে শুরু হয় হানাদার বাহিনীর নাশকতা। আগুনে ভস্মীভূত হয় কমলপুর বাজার। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় থানা, মহকুমা শাসকের অফিস, স্কুল, ট্রেজারি ও শুল্ক দপ্তরের অফিস। পুলিশবাহিনী পালিয়ে যায় থানা থেকে। পাক হানাদারেরা কমলপুর থানায় পাকিস্তানের ফ্ল্যাগ উত্তোলন করে। ফুলছড়ি এলাকার একটি অংশ আক্রান্ত হয়। লুটপাটের টাকা ও সোনাদানা হাতির পিঠে চাপিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কুখ্যাত কেরামত মিঞার কাছে। আশ্চর্যজনকভাবে রক্ষা পায় কমলেশ্বরী কালীবাড়ি। কালীবাড়িতে আগুন দিতে গিয়েও হানাদারেরা পিছিয়ে আসে। সাহসিকতার জোরে বেঁচে যায় বালিগাঁওয়ের দত্তপাড়া। কমলপুর এয়ারপোর্ট থেকে ওয়ারলেসে আগরতলার। সঙ্গে যোগাযোগ করে সেনা পাঠানোর আর্জি জানানো হয়। আগরতলার সঙ্গে তখন কমলপুরের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ছিল না। সিলেট হয়ে আসতে হত। দুদিন পর তেসরা এপ্রিল জনতা সার্ভিসের ফ্লাইটে সেনা পাঠানো হল। কমলপুর শহর তখনো পাক হানাদারদের কবলে। মূল সড়ক ছেড়ে সেনাবাহিনী ধলা নদী পেরিয়ে দারাং, মেথিরমিয়া, হালহুলি হয়ে হেঁটে চললেন কমলপুরের উদ্দেশ্যে। বেলা তিনটে নাগাদ দুদিক থেকে শহর ঘেরাও করে সেনাবাহিনী। গেরিলা কায়দার এই অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় তিনশো পাক হানাদারকে। পাকিস্তানের সবুজ পতাকা নামিয়ে টাঙানো হয় ভারতের জাতীয় পতাকা। শহরের বিভিন্ন জায়গাতে সেনাছাউনি বসানো হয়। তিনশো পাক হানাদারকে একে একে গুলি করে হত্যা করে গণকবর দেওয়া হয়। তৎকালীন পাকিস্তান প্রশাসন এই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া মুসলমানদের কোনো পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেনি। উলটে ভারত সরকারকে চাপ দেয় এদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্যে। পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে আসা হিন্দুরা কেউ আর ফিরে যেতে রাজি নয়। কুকিদের ভয়ে পালিয়ে যাওয়া মুসলমানদের ফিরিয়ে আনতে ভারত সরকার উদ্যোগ নেয়। একে একে সব পরিবারই ফিরে আসে। ফিরে আসে হানাদার বাহিনীর সহযোগী মুসলমানেরাও। এদের পঁয়ত্রিশ জনের বিরুদ্ধে দাঙ্গার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর আঠারোজনের তিন থেকে দশ বছরের সাজা হয়েছিল।
কমলপুর থেকে তৎকালীন কংগ্রেস নেতা শচীন্দ্রলাল ভৌমিক ও কয়েকজন হালাহালিতে গিয়ে শরদিন্দু দত্তকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন কুকি অভিযান বন্ধ করার জন্যে। পয়লা এপ্রিল কমলপুরে পাক হানাদারদের আক্রমণের দিনটিতে কুকিবাহিনী নিয়ে শরদিন্দু ফিরে যাচ্ছিলেন শেরমুন পাহাড়ে। ফেরার পথে মহারানিতে পরিচয় হল গণমুক্তি পরিষদের বারীন্দ্র দেববর্মার সঙ্গে। দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। বারীন্দ্রর আমন্ত্রণে একমাস পর মহারানিতে আসেন শরদিন্দু। গণমুক্তি পরিষদের ভীম দেববর্মা ও ভুবন দেববর্মার সঙ্গেও পরিচয় হয়। সেখান থেকে হালাহালি গিয়ে পরিচিতদের সঙ্গে দেখা করে শেরমুন ফিরে গিয়েছিলেন। আবারও একমাস পর নিরাপত্তারক্ষীসহ মহারানিতে আসেন শরদিন্দু। বন্ধু বারীন্দ্র দেববর্মার বাড়িতেই আতিথ্য নিয়েছিলেন। শেরমুন পাহাড়ের তুয়েলসাং গ্রামে স্ত্রী ও পাঁচ বছরের ছোট্ট মেয়ের কাছে আর ফিরে যেতে পারেননি তিনি। পরদিন ভরত চৌধুরী পাড়া পেরিয়ে আঠারো মুড়ার পাদদেশে কোথাও তার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। স্থানীয় লোকেদের মুখে শোনা গিয়েছিল, সেই রাতেই গণমুক্তি পরিষদের গোপন আস্তানায় শরদিন্দুর বিচার হয় ও মুক্তি পরিষদের সশস্ত্র গেরিলা বাহিনী শান্তিসেনা তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। রাজনৈতিক মহলেও এমনটাই ফিসফিসানি ছিল। কয়েকদিন পর নিরাপত্তারক্ষীর লাশও উদ্ধার হয়েছিল। খুনের কোনো কিনারা হয়নি তখন। অভিযোগও দায়ের করেনি কেউ। পরে বেশ কয়েকবার কুকি সেনারা মহারানিতে তাদের অধিনায়কের খোঁজ নিতে এসে নিরাশ হয়ে ফিরে গিয়েছিল। তাঁর জীবনের মতোই মৃত্যুর ঘটনাও রহস্যই হয়ে রইল। শরদিন্দুর স্ত্রীর পরে বিয়ে হয়েছিল কোনো এক পাঞ্জাবি যুবকের সাথে।
১৯৫০ সালের সেই ঘটনা মুক্তি পরিষদের ইতিকথা বইটিতে দশরথ দেব লিখেছিলেন, মুক্তি পরিষদের আন্দোলনকে বিকৃত করতে কোনো এক বাঙালির নেতৃত্বে হালাহালি ও মানিকভাণ্ডার এলাকার মুসলমানদের উপর আক্রমণ হয়েছিল। শরদিন্দুর রাজনৈতিক পরিচয় দিতে গিয়ে দশরথ দেব একবার লিখেছেন, তিনি নাকি হিন্দু মহাসভার লোক। আবার লিখেছেন, তিনি হিন্দু মহাসভা নাকি কংগ্রেসের লোক তা বোঝা যায়নি। দশরথ দেব যতটুকু জানতে পেরেছিলেন, শরদিন্দু হালাম জনগোষ্ঠীর কোনো এক মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন। মুসলমানদের বিরুদ্ধে হালাম ও কুকিদের উসকে দিয়ে ধনসম্পদ, গোরুমহিষ লুট করে উপজাতিদের ভাগ্য ফেরাবার পথ দেখান। হালাম ও কুকিদের বিশাল বাহিনী নিয়ে অতর্কিতে হানা দিয়ে কমলপুরের বাঙালি ও মণিপুরি মুসলমানদের উপর আক্রমণ সংঘটিত করে লুটপাটের পর তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে সর্বস্বান্ত করেন। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে মুক্তি পরিষদের সাব কমিটি বা বিভাগীয় কমিটি দুই ইউনিট সশস্ত্র গেরিলা বাহিনীকে দাঙ্গা রুখে দেওয়ার জন্যে পাঠিয়েছিল। তখন মুক্তি পরিষদের সাব কমিটির সাধারণ সম্পাদক বারীন্দ্র দেববর্মা। মুসলমানদের সঙ্গে ত্রিপুরীদের সম্পর্ক যেহেতু ভালো ছিল, দাঙ্গাবিধ্বস্ত অনেক মুসলমানই ত্রিপুরীদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। দশরথ দেব আরও লিখেছিলেন, মুক্তি পরিষদ এই মুসলমানদের আশ্রয় দিয়ে তাঁদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে তাঁদের ঘরবাড়ি তৈরিতে সাহায্য করেছিল। ফলে, মুসলমানরা খুব তাড়াতাড়িই বাড়ি ফিরতে পেরেছিলেন। যারা ভয়ে পালিয়ে পূর্ব পাকিস্তান চলে গিয়েছিলেন তাঁরাও ফিরে আসেন। দশরথ দেবের দাবি, মুক্তি পরিষদের গেরিলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষেই শরদিন্দু দত্ত মারা যান।
২৯.
মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরিয়ে গেছে। তিনজন ফার্স্ট ডিভিশন। কানাই দেব পুরকায়স্থ। রুমি সূত্রধর। মেঘদূত সিংহ। তখন ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের রেজাল্টে সারা ত্রিপুরাতেই ফার্স্ট ডিভিশন খুবই কম ছাত্রছাত্রীরাই পেত। বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, ভূগোলে লেটার মার্কস কালেভদ্রে শোনা যেত। বাড়িতে চাপ আরও বেড়ে গেল। অবশ্যই মায়ের উদ্বেগ। আমারও দুই কানের ভেতর দিয়ে ততদিনে উপদেশ শুনে বের করে দেওয়ার একটি সহনশীল পথ তৈরি হয়ে গেছে। প্রি-টেস্টের রেজাল্টও বেরিয়ে গেছে। প্রি-টেস্টে আমাদের এক সহপাঠীকে বাবা এক্সপেল করেছিলেন। সেই সহপাঠী অনেক কাকুতি মিনতির পর বাবাকে বলেছিল, স্যার, আজকা রাত্রেই আমি স্যুইসাইড করমু স্যার। আর আমারে কোনোদিন ইস্কুলে পাইতেন না স্যার। বাবা অনড়। স্কুল খোলার পরও কয়েকদিন সে আসেনি। হঠাৎই একদিন স্কুলে এসে হাজির। আমার খুব হাসি পেয়ে গেল। কারণ আমি জানি, স্যুইসাইড করার মতো ছেলে ও নয়। অবাক হওয়ার ভান করে জিজ্ঞেস করলাম, আরে তুই! আমি তো ভাবছি তুই মইরা গেছস গা। তেড়ে আসার ভঙ্গিতে আমাকে বল, হেডমাস্টার বাড়িতে এই শিক্ষাই বুঝি দেয়? প্রি-টেস্টে অভিজিৎ যথারীতি ফার্স্ট। বাংলা সেকেন্ড পেপারে পেয়েছিলাম চুয়াত্তর। খাতা দিতে প্রবোধ স্যার দাঁতমুখ খিঁচিয়ে বললেন, এত নম্বর দিতাম না ভাবছিলাম। আরেকদিন যদি দেখি সাইকেল লইয়া টো টো করতাছস, ঠ্যাং ভাইঙ্গা ফালামু। স্যার অবশ্য আমাকে কোনোদিনই মারেননি। ক্লাসটিচার পণ্ডিত স্যার একদিন ক্লাসে ঢোকার মুহূর্তে কে যেন ক্লাসের ভেতর কুকুরের মতো ডেকে উঠল। পরদিন ক্লাসে ঢুকেই স্যার বললেন, কালকে যে কুত্তার ডাক দিছে তার নাম শুনলে তোমরা অবাক হইবা। সে আমাদের হেডমাস্টারের ছেলে। তার আর পড়াশোনা হবে না। আমি থ। ততক্ষণে ক্লাসে অনেকেই জেনে গেছিলাম, কাজটা সজলের। অপমানে চোখ ফেটে জল বেরিয়ে আসছিল। ছোটোবেলা থেকেই বিনা দোষে এইসব অপবাদ মাথায় বয়ে ফিরি।
ক্রমশ…
এতো তথ্যবহুল লেখা, পড়ে নিজেই সমৃদ্ধ হই!
অনেক অজানা জানা হল।